দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সংঘঠিত শিল্প বিপ্লব সভ্যতার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্প বিপ্লব কেও পিছনে ফেলে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নজীরবিহীন এ উন্নয়নে গোটা বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিনত হয়েছে। এ প্রযুক্তি দূর কে এনেছে কাছে, পর কে করেছে আপন আর অসাধ্য কে সাধন করেছে। তাই তথ্য ও প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বেও সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল হাতিয়ার। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব পরিমন্ডলে নিজ অবস্থান সুদূঢ় ও উজ্জ্বল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই শুরু হয়েছে এর অগ্রযাত্রা।
মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, যশোর শুধু মাত্র যশোর জেলারই না সারা দেশের মধ্যে অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসকগণ। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার প্রতিনিধিগণ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছে। ২০০৩ সালে এটি বাংলাদেশের ভিতরে মাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হয়। ২০০০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জনাব মাহমুদা বেগম জাতীয় শিক্ষক হিসাবে স্বর্ণ পদক পান। ২০১৯ সালে গাইড শিক্ষক জনাব চাঁদ সুলতানা জাতীয় গাইডার হিসাবে নির্বচিত হন। এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান জনাব মো: খায়রুল আনাম জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হন। পুনরায় ২০২৩ সালে তিনি আবারো জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন।
প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬ শত শিক্ষার্তী রয়েছে। সমাজের সকল স্তরের শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করে। তাদেরকে ঘষে মেজে মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করে আসছেন এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ। খেলাধূলা, বির্তক, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃতিসহ সকল সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া, প্রশাসন, উন্নয়ন, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয় দেখাশোনা করার জন্য গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ নিয়মিত কাজ করে আসছেন। এখানে শিক্ষা উপ-কমিটি, অর্থ উপ-কমিটি, উন্নয়ন উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা উপ-কমিটি রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম কার্যক্রম চালু হয়েছে। এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা তদারকি করে আসছি।
অভিভাবকগণ নিজ নিজ সন্তানের বিষয়ে সচেতন থাকবেন। তাদের দেখাশোনা করবেন। যেকোন বিষয়ে শিক্ষকবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। শিক্ষক অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীর সঠিক সমন্বয় না হলে শিক্ষা কার্যকর হয় না। আধুনিক সময় খুবই জটিল। এসময় শিক্ষার্থীর প্রতি সব সময় নজর দারি একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে মোবাইল এবং অনলাইন বিষয়ে।
শিক্ষার্থীকে বড় হতে হবে। মানুষ হতে হবে। ভাল মানুষ। এজন্য যার যা প্রতিভা আছে তাকে সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই প্রকৌশলী, চিকিৎসক হবে না। পৃথিবীতে প্রচুর বিষয আছে পড়ার। এজন্য শিক্ষার্থী যাতে তার নিজ পছন্দ অনুযায়ী পড়তে পারে সেজন্য অভিভাবককে সচেতন ও সহযোগিতা করতে হবে।
শিক্ষকমন্ডলীকে আন্তরিক হতে হবে। আরো আন্তরিক। শিক্ষার্থী যাতে সহজে পাঠ অনুধাবন করতে পারে এজন্য শিক্ষককে সাবলীল, সহযোগি ও সহমর্মী হতে হবে। শিক্ষক যেন শিক্ষার্থীর কাছে শ্রদ্ধার আসনে থাকতে পারে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সকলের জন্য শুভ কামনা রইল। এম.এস.টি.পি এগিয়ে যাক তার সাবলীল গতিতে। পুনরায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।