• 024777-65182
  • mstpjessore@gmail.com
Sat, 12 Oct, 2024 |

Madhusudan Taraprasanna Girls School And College

B. K Road Bejpara, Jashore Sadar, Jashore

স্বাগতম

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড

মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যতিক্রমধর্মী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যশোর জেলার সদর থানার অন্তর্গত বেজপাড়াস্থ বি. কে রোডে এর অবস্থান। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এর ব্যতিক্রম নয়। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শিক্ষার্থীর প্রকৃত মেধা ও মননশীলতার সুষ্ঠ বিকাশ ঘটানোর অভিলক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ সচেষ্ট রয়েছে।

যশোর জেলার অবহেলিত নারী সমাজের মাঝে শিক্ষার জ্ঞান প্রসারের লক্ষ্যে তৎকালীন শিক্ষানুরাগী, জমিদার ও শিক্ষাবিদ রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার তার ১ একর ৮২ শতক জমিতে অত্র এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় ১৯০৪ সালে বেজপাড়াতে একটি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার বাবার নামানুসারে বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন “তারাপ্রসন্ন প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়”। রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে এতটাই উদার ছিলেন যে, পরবর্তীতে তার স্থাবর সম্পত্তির অধিকাংশই শিক্ষার উন্নয়নে দান করেন। তারই জমিতে বর্তমানে শহরের লোন অফিস পাড়ায় “সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন” ও “আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠিত হয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত রয়েছে। যশোর ইন্সটিটিউটেও রয়েছে তার ব্যাপক অবদান। যার জন্য ইন্সটিটিউট অঙ্গনে তার আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করে সযত্নে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। তৎকালীন বৃটিশ শাসক গোষ্ঠী হতে তার প্রাপ্ত উপাধি হল- এম. এ, বি, এল, সি, আই, ই, কাইজার-ই-হিন্দ, বেদান্ত বাচস্পতি, বিদ্যা বারিধী।

পরে বেজপাড়া এলাকার অপরাপর বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ একই স্থানে একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামানুসারে বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন মধুসূদন দত্ত উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এর আরো কিছু পরে এলাকার কিছু সুধীমহল বিদ্যালয় দুটিকে একীভূত করেন এবং যৌথভাবে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন ‘মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয়” সংক্ষেপে ‘এম এস টি পি গার্লস স্কুল’। স্কুলের সামগ্রিক কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে অনুমোদন দেয় এবং মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং এর অফিসিয়াল নথিপত্র হারিয়ে যায়। এ কারণে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকবৃন্দসহ পরিচালনা পরিষদের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৯৬৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা হলেনঃ সর্বজনাব মোঃ আজিজুর রহমান (১৯৯৪-৬৫), আর বি নূরজাহান (১৯৬৬-৬৮), মিসেস শরীফা ইসলাম (১৯৬৮-৬৮), সিরাজুল ইসলাম (১৯৬৯-৬৯), আহম্মদ আলী (১৯৬৯-৭০), মিসেস রোকেয়া খাতুন (১৯৭০-৭৪), মিসেস শরীফা ইসলাম (১৯৭৪-৮৮), মিসেস রোকেয়া খাতুন (১৯৮৯-৯০), আবুল কাসেম সিদ্দীকি (১৯৯০-৯০), মিসেস ফরিদা খাতুন (১৯৯০-২০০৯), মোঃ খায়রুল আনাম (২০১০-বর্তমান)।


স্বাগতম

Principal Message

বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। আধুনিক বিশ্বের সকল ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পালন করছে যাদুর কাঠির মতো নব নব বিস্ময়কর ভূমিকা। শিক্ষা ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির চমক ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার ৪নং লক্ষ অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতা ভিত্তিক মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার অতিশয় আন্তরিক ও সচেষ্ট। তাই আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সদাসয় সরকার যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে শিক্ষাকে একটি অভিন্ন নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে ঠিক সেই মূহুর্তে সরকারের সদিচ্ছার সার্থক প্রতিফলন ঘটাতে মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও কলজেও আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তির সফল প্রায়োগিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তি বান্ধব প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি শিখন কার্যক্রমকে সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনায়াসে বোধগম্য ও ধারণযোগ্য করার লক্ষ্যে একটি সমৃদ্ধ স্কুল ও কলেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার সিস্টেম ও ওয়েবসাইট চালু করে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কালে লকডাউন পর্যায়েও জুম এপস এর মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষাদান ও পরীক্ষা গ্রহন চালু রেখে শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে উল্লেখিত তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করায় অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশাকরি এ মহৎ উদ্যোগ ভবিষ্যতে শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে। 
শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে নিরন্তর শুভেচ্ছা ও অবিরাম অভিনন্দন।

অধ্যক্ষ
মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও কলজে, যশোর


Counter

Current Students

1480 +

Current Teachers

39 +

Awards

100 +

Awards

Find Us On Google Map

Visitors

Total Visitor: 41073